মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্মপ্রতিকৃতির জন্যই মূলত দৃষ্টি কেড়েছে রসিক শিল্পবোদ্ধাদের। তাঁর আঁকা ছবিগুলো একান্তই তাঁর জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। আত্মপ্রতিকৃতিগুলোর দিকে তাকালে সবটা বোঝা যায় না। ব্যাখ্যা করাও যায় না পুরোটা, অস্পষ্ট মনে হয়; মনে হয় রহস্য়ে ঘেরা। ফ্রিদা বলেছেন, ‘আমি
জন্মের পর থেকেই এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো। জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান বাবা আর মা ছিলেন স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসী মিশ্র রক্তের মানুষ। ফ্রিদার ছেলেবেলা কেটেছে মেক্সিকো শহরে এক মধ্য উচ্চবিত্ত পরিবারে। ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে
ত্রোৎস্কির কথা বলছিলাম আমরা। ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের নায়ক তিনি। এমনিতে আমাদের দেশে ট্রটস্কি নামে পরিচিত। জীবনের সন্ধ্যাবেলায় তিনি অন্য নারীর প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলেন। এমন বাধভাঙা প্রেমে পড়েছিলেন যে, মনে হচ্ছিল তিনি প্রেমে দিওয়ানা হয়ে গেছেন। এই প্রেম হয়েছিল ম্যাক্সিকান শিল্পী ফ্রিদা কাহলোর সঙ্গে।
কনের মা–বাবা এই জুটির নাম দিয়েছিলেন ‘হাতি আর কবুতর’। দেবেন না কেন, বর তো ছিল কনের চেয়ে ২১ বছরের বড়। ১০০ কিলোগ্রামের চেয়েও বেশি ছিল তাঁর ওজন। উচ্চতাও ছিল দেখার মতো।
চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
ঠোঁটে টকটকে লাল বা উজ্জ্বল কমলা রঙা লিপস্টিক। মাথার ওপর তুলে রাখা বিনুণীতে গেঁথে রাখা আছে গোলাপি, হলুদ, লাল ফুল। কখনো বা ফুলের পরিবর্তে শোভা পাচ্ছে সিল্কের রঙিন ফিতে। পুরু জোড়া দুই ভ্রুর নিচে বুদ্ধিদীপ্ত চোখ দুটি হারিয়ে গেছে যেন দিগন্তের শেষ সীমানায়। গোটা আকাশটাই তাঁর কাছে জীবন্ত এক